মো: রুবেল : চাটখিল পৌর শহরে বিএনপি’র দু’গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, দলীয় অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের রুপম, রুবেল ও যুবদল নেতা মোহনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। মারাত্বক আহত রুপম ও মোহনকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
পৌর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক দেওয়ান শামছুল আরেফিন শামীম জানান, আজ শনিবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের হোসেন, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান ও পৌর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক মেয়র মোস্তফা কামালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরন নিয়ে আলোচনা শুরু করছিল। এ সময় একদল উশৃঙ্খল নেতাকর্মী দলীয় কার্য্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় দলীয় নেতাদেরকে রক্ষা করতে গেলে রুপম, রুবেল ও মোহনসহ অনেকে আহত হন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চাটখিল উপজেলা যুব দলের সাবেক সেক্রেটারী বেলায়েত হোসেন দীপু জানান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমানে বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন সমর্থক নেতাকর্মীদের না জানিয়ে দলীয় কার্য্যালয়ে মিটিং করছিল। এ খবর পেয়ে মামুন সমর্থক নেতা কর্মীরা চাটখিল পৌর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা সড়কের দলীয় কার্য্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত জেলা নেতাসহ সকলকে বের করে দিয়ে দলীয় কার্য্যালয় দখল করে নেয় এবং তারা দলীয় কার্য্যালয়ে নতুন তালা লাগিয়ে দেয়।
দলীয় কার্য্যালয় থেকে বের হয়ে পুনরায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে পূর্বা মঞ্চে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের ফরম বিতরন করতে চাইলেও মামুন গ্রুপের বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়।
জেলা নেতারা দ্রুত চাটখিল পৌর শহর ত্যাগ করে খিলপাড়া হয়ে নোয়াখালী যাওয়ার পথে খিলপাড়া বাজারে পুনরায় মামুন সমর্থক নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে। পরে স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা জেলায় চলে যায়।
বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুরের সময় পৌর বাজারে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
উল্লেখ্য বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সমর্থক ও বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন সমর্থক নেতা কর্মীরা চাটখিলে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।